Title Name -“পুণ্যব্রতে পূর্ণযোগী – স্বামী আত্মস্থানন্দ” (দ্বিতীয় খণ্ড)
পরম পৃজনীয় স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের অঙ্গরূপে ‘পৃণ্ব্বতে পূর্ণযোগী’ গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হল। প্রথম খণ্ডে আমরা পূজনীয় মহারাজ সম্পর্কে বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীকৃত অমূল্য স্মৃতিচারণকে উপস্থাপিত করেছি। ঠিক তেমন গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথমেই আমরা পুূজনীয় মহারাজের নিজস্ব রচনার সংকলনকে তুলে ধরেছি। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রাণকেন্দ্রে বিরাজমান দিব্যত্রয়ীর দিব্যজীবনাবলী। পূজনীয় স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজ বিভিন্ন সময়ে এই দিব্যত্রয়ী বিষয়ে যে বিভিন্ন প্রবন্ধ রচনা করেছেন তারই সংকলন আমরা তুলে ধরেছি।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা বিশেষ বিষয়কে তুলে ধরেছি। পূজনীয় মহারাজের বর্ণিত মঠের প্রাচীন সাধুদের স্মৃতিকথা, এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি অধ্যায়। কারণ, মহারাজ যুবক বয়সে যখন মঠে যাচ্ছেন, পরিচিত হচ্ছেন, ধীরে ধীরে সন্ন্যাসীরূপে মঠে যোগদান করছেন-সব পর্যায়েরই বিভিন্ন রূপরেখা আমাদের চোখের সম্মুখে প্রতিভাত হয়। তাঁর যাওয়া-আসার পথে আমরা বেলুড় মঠকে নতুনরূপে দেখি। এমনকি শ্রীমা সারদাদেবী ও স্বামী ব্রহ্মানন্দের দীক্ষিত সন্তানগণও মঠে উপস্থিত । সেই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষণে বেলুড় মঠের পূজনীয় পুর্বজ সন্ন্যাসীদের স্মৃতিচারণ করেছেন মহারাজ; তার মাধ্যমে মঠের প্রথম দিকের সন্ন্যাসীদের জীবন ও ভাবনা সম্বন্ধে আমরা জানতে পারি ।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের – আশ্রম অধ্যক্ষ, বেলুড় মঠের সম্পাদক, সহাধ্যক্ষ ও সঙ্গাধ্যক্ষ – প্রায় সন পদেই স্বামী আত্মস্থানন্দজী অভিষিক্ত হয়েছেন ও বিচরণ করেছেন স্বকীয় বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে।আবার বেলুড় মঠের সেবাকাজ বা রিলিফে তাঁর অবদান অতুলনীয় ৷ এই বিষয়ে আমরা নতুন কিছু উপাদান এই খন্ডে পাব। এর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে মহারাজ বিভিন্ন কেন্দ্র ও আশ্রম প্রতিষ্ঠা ক্ষণে বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে যে বক্ততা প্রদান করেছিলেন তারও কিছু অংশ সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে ৷ এই খন্ডটির আরেকটি বিশেষ অংশ হল মহারাজের লেখা ডায়েরি বা প্রতিদিনের দিনলিপি । কিছু বিশেষ বিশেষ অংশ তুলে ধরেছি। এর মধ্যে পূজনীয় মহারাজের শ্রীশ্রীঠাকুরকে প্রথম দর্শনের স্মৃতি, অমরনাথ যাত্রার সময় পূজনীয় শ্রীমৎ সামী গম্ভীরানন্দজী মহারাজের অমরনাথের সুধা লিঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুরকে দর্শনের স্মৃতি এবং সেই দর্শনের অভিজ্ঞতা! প্রাচীন সন্ন্যাসীদের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, এরকম বহু বিষয় এসে আমাদের চোখের সম্মুখে ধরা দেবে, পাঠকের কাছে যা একেবারেই নতুন ।পূজনীয় মহারাজের নিজস্ব ডায়েরির সঙ্গে আমরা ‘মায়াবতীর ডায়েরি’ও সংযুক্ত করেছি। আমরা জানি মহারাজের দ্বিতীয় কর্মক্ষেত্র ছিল অদ্বৈত আশ্রম মায়াবতী । এই আশ্রমে একটি দিনলিপি রক্ষা করা হয় আশ্রমের জন্মলগ্ন থেকে। ব্রহ্মচারী সত্যকৃষ্ণ যখন সেখানে ছিলেন, সেই সময়ের আশ্রমের দিনলিপিটি আমরা এই গ্রন্থে সংযোজিত করলাম।
Reviews
There are no reviews yet.